২২ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো বাংলাভিশনের সম্প্রচার (ভিডিও)
চব্বিশের জুলাই আন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল স্বৈরাচার হাসিনা সরকার। আন্দোলন থামাতে রাজপথে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী। আর সেই চিত্র যখন গণমাধ্যমে সামনে নিয়ে আসে, তখন গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ সরকার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের খবর প্রচার করায় দুই দফায় সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের। প্রথমে ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিন শুরু হওয়ার পরপর ৩০ মিনিটের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় চ্যানেলটির সম্প্রচার। এরপর ২২ জুলাই দুপুর ২টার বুলেটিন শুরু হওয়ার পর আবারও ৩০ মিনিটের জন্য বাংলাভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় স্বৈরাচার সরকার।
বিষয়টি নিয়ে চ্যানেলটি প্রধান সম্পাদক ও হেড অব নিউজ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় প্রতিনিয়ত চাপ আসতো আমাদের উপর। যেকারণে অনেক সময় আমাদের নিউজ ফেলে দিতে হতো। এক পর্যায়ে যখন জুলাই আন্দোলন চলছিল তখন ১৮ ও ২২ তারিখ দুই দফায় আমাদের বুলেটিন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় শেখ হাসিনা সরকার।
গত বছরের ১৮ জুলাই 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ছাত্র-জনতাকে দমাতে টিয়ারশেল, শর্টগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে র্যা ব,পুলিশ-বিজিবি। শুধুমাত্র তাই নয়, ছাত্র-জনতার মিছিলে সরাসরি গুলি চালায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। সেই চিত্র প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যমের উপর চাপ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকার।
ছাত্রদের লক্ষ্য করে র্যাব-পুলিশ ও বিজিবি গুলি ছোড়ে, সে দৃশ্য সরাসরি লাইভ সম্প্রচার করে দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের টার্গেটে পড়ে বাংলাভিশন। ২৪ সালের ২২ জুলাই কিছুক্ষণের জন্য চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার। বাধা দেওয়া হয় সংবাদ প্রচারেও। এর আগে ১৮ জুলাই সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বাংলাভিশনসহ আরও ৩ টি চ্যানেলের।
সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাভিশনের বন্ধ করে দিয়ে এক ধরণের পরোক্ষ হুমকি দিতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকার। সেসময় চ্যানেলটির সামাজিক পাতায় বা অনলাইন মাধ্যমেও আন্দোলনের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়। আর যা নিয়েও পড়তে হয় বাধার মুখে।
ছাত্র-জনতাকে দমাতে বেপরোয়াভাবে মানুষ হত্যা শুরু করে পতিত সরকর। তারপরও আন্দোলনকারীরা দাবি আদায়ে অনড় থাকে। বাড়তে থাকে আন্দোলনের তীব্রতা। পরিণতিতে ৫ আগস্ট পতন ঘটে স্বৈরাচারী সরকারের।
বিভি/জোহা
মন্তব্য করুন: