২৩ জুলাই : পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় ৪ মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

ফাইল ছবি
২০২৪ এর ২৩ জুলাই ছিল তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের দেশব্যাপী জারি করা কারফিউ এর চতুর্থ দিন। এদিন থেকে জনমনে আতঙ্ক দূর করার কৌশল নেয় শেখ হাসিনা সরকার। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চার মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি আরো উন্নতি হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে দেখভাল করার কথা জানান তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বন্ধ থাকা ইন্টারনেট নিয়েও নানা অপপ্রচার চালান সেসময়ের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
২৩ জুলাই ২০২৪। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের এ দিনের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। কারফিউয়ের টানা চতুর্থ দিন। উত্তাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা সরকারের। আগেরদিন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে নতুনভাবে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন অনুমোদন দেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।
তবে, এর আগের কয়েকদিনের সংঘর্ষের মৃত্যুর খবরের কাছে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন খুব বেশি গুরুত্ব পায়নি। শেষবেলায় এসে প্রাথমিকভাবে মিডিয়াপাড়া, কূটনৈতিক এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানকে গুরুত্ব দিয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। তবে, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধই থাকে। এমনকি কবে নাগাদ চালু হবে তাও পরিষ্কার করে না সরকার। চালু করার ব্যাপারে একেক সময় একেক কথা বলেন তৎকালীন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক বুঝাতে একসাথে সংবাদ সম্মেলন করে স্বৈরাচার সরকারের তখনকার চার মন্ত্রী। কারফিউ তুলে নেওয়ার পাশাপাশি আশ্বাস দেন আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে দেখভাল করার প্রলোভনও দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, দেখামাত্র গুলির নির্দেশের' বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিন্দার কড়া সমালোচনা করেন তখনকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে দাবি করে পরের দিন থেকে সাত ঘণ্টার জন্য সারাদেশে কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তবে, এ সবের আড়ালে চলতে থাকে গণগ্রেফতার ও হয়রানি-নির্যাতন। আরো ক্ষুব্ধ হতে থাকে সব শ্রেণি পেশার মানুষ।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: