বিমান বিধ্বস্তের সময় কত শিক্ষার্থী ছিলো মাইলস্টোনে, জানালেন শিক্ষক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বিধ্বস্ত ভবনটির যে জায়গাটিতে বিমানটি আসছে পড়ে সেটি ছিল একটি দোতলা ভবন। নিচতলার মাটি ঘেঁষেই আছড়ে পড়েছিল বিমানটি।
শিক্ষকরা জানান, দোতলা এই ভবনে ১২টি শ্রেণি কক্ষ ছিল। ওই শ্রেণি কক্ষে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস অনুষ্ঠিত হতো। প্রতি ক্লাসে গড়ে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী ক্লাস করতো বলেন জানান শিক্ষকরা। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে যখন বিমানটি স্কুল ভবনে আছড়ে পড়ে তখন ছিল টিফিনের বিরতি। কারো কারো ছুটিও হয়েছিল তখন। কেউ কেউ তখন বের হয়ে বাসায় রওনাও হয়েছিলেন।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের প্রভাষক মো. রেজাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দোতলা ভবনের প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থীদের ক্লাস হতো। যারা দোতলায় ছিলেন, তাদের উদ্ধার করা গেছে। আর যারা নীচতলায় ছিল তাদের অনেকেই দগ্ধ হয়েছে। বিমানটি একেবারেই ভবনের মাঝ বরাবর নিচের অংশে আঘাত করেছে। যে কারণে নিচতলার দুই পাশের কক্ষগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুইতলা মিলে ২০০ এর ওপরে শিক্ষার্থী ছিল। আর নিচতলায় ছিল ১০০-১২০ জন শিক্ষার্থী। তবে নিচতলার শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
তিনি জানান, ক্লাস চলাকালীন হলে সাধারণত ২০০ থেকে ২২০ জন শিক্ষার্থী থাকার কথা। যেহেতু বিরতি চলছিল এজন্য এই সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। যদিও স্কুলটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আহত বা নিহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদিন স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এসেছিলেন অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। তারা আহত ও নিহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবিও জানান।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: