জঙ্গি-নাটক পুনরায় মঞ্চায়নের অপচেষ্টা, অভিযোগ খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের

জঙ্গি-নাটক পুনরায় মঞ্চায়নের অপচেষ্টা ও আলেম-দা'য়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ।
বুধবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, 'আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি—পূর্বের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে যেভাবে ‘জঙ্গিবাদ’ নামক মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ইসলামী জীবনাচার অনুসরণকারীদের দমন করা হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্র আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।'
তিনি বলেন, 'অতীতে দাড়ি রাখা, নামাজ পড়া, টুপি পরা, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরোধিতা বা কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক বই পাঠের মতো মৌলিক ইবাদাতকে ‘জঙ্গিবাদের আলামত’ বলে বহু নিরপরাধ মানুষকে গুম, খুন ও হয়রানির শিকার করা হয়েছিল। আজ সেই পুরোনো কৌশলেই ফের আঘাত হানা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দায়ী আসিফ আদনান, জাকারিয়া মাসুদ ও মাওলানা রেজাউল করিম আবরারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ভিত্তিহীন মামলাগুলোর কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই। অথচ ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বয়ং বলেছেন, “বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ নেই।” তাহলে প্রশ্ন—এই জঙ্গি-নাটক কারা লিখছে? কার স্বার্থে?
মহাসচিব মাওলানা রাব্বানী বলেন, 'ইসলাম প্রচার ও দাওয়াহ কোনো অপরাধ নয়, বরং এটি সমাজে নৈতিকতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ। কিন্তু আজ সেই দা’য়ী ও আলেমদেরই অপরাধী বানানোর অপচেষ্টা চলছে—যা শুধু ব্যক্তিগত হয়রানি নয়, বরং গোটা ইসলামপ্রিয় জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র।'
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, 'এই জুলুমের বিরুদ্ধে আমরা নীরব থাকব না। অতীতেও ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছিল, ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হলে আমরা রাজপথে নামব, ইন শা আল্লাহ।
আমাদের স্পষ্ট দাবিসমূহ:
১. দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. যেসব মহল এই অপপ্রচারের নেপথ্যে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. কেবল দ্বীন পালনের কারণে যেন কোনো আলেম বা মুসলমান হয়রানির শিকার না হয়—রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সত্যের ওপর অটল রাখুন এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে সংগ্রামে কবুল করুন।'
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: