কুমিল্লার কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতা, ছাড়া পেলেন আ.লীগপন্থী চেয়ারম্যান!

কুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৭ জুলাই) কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইতে গেলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবেদা খাতুন জামিন নামঞ্জুর করে উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পৃথক আরেক মামলায় বিএনপির ৬ কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলে তারা জামিনে মুক্তিপান। বাকিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় হামলা এবং ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের ওপর হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। যার একটি করে পুলিশ, অপরটি করে সরকারের একজন উপদেষ্টার চাচাতো ভাই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে।
এদিকে কারাগারে নেওয়ার পথে নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন তুহিন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় অসুস্থ হেলালকে পুলিশি প্রহারায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছে, কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে সরকারের একজন উপদেষ্টা এমপি হওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। গত ২৪ জুলাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়া (শ্রীকাইল ইউনিয়ন) ইকবাল বাহারকে আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ইকবাল বাহারকে আটক করে। অভিযোগ রয়েছে- সরকারের একজন উপদেষ্টার তদবিরে পুলিশ বাহারকে ছেড়ে দেয়। অথচ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। শুধু তাই না, মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মুরাদনগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, সরকারের একজন উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: