• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে ‘নৌকাকে’ চোখ রাঙাচ্ছে জামায়াত প্রার্থী! 

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৬:৩৮, ১৪ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
লক্ষ্মীপুরে ‘নৌকাকে’ চোখ রাঙাচ্ছে জামায়াত প্রার্থী! 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে জেল খেটে আসা শিক্ষক মনজুল কবির তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ৭ নম্বর বামনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাফাজ্জল হোসেন-এর বিরুদ্ধে। 

জানা গেছে, মনজুল কবির বামনী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দু'জন ছাড়া হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন হাসান মাহমুদ নামে চরমোনাই পীরের একজন প্রতিনিধি। এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ মনোনয়ন কিনলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি। আওয়ামী লীগের দু'জন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও তাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

আরও পড়ুন:
সিসিইউতে খালেদা জিয়া
আইজিপি’র স্ত্রী পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগের চেষ্টা, নারীসহ গ্রেফতার দুই

অপু বিশ্বাসসহ একঝাঁক তারার মেলায় বিউটি ও স্কিন কেয়ার উদ্বোধন

ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফরহাদ হোসেন মীরন ২৪ বছর ধরে মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাভিশন ডিজিটালকে জানিয়েছেন, এবারও ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। তাঁর দলের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তাফাজ্জল হোসেন। 

মীরন জানান, মনজুল কবির শিক্ষক, মানুষ হিসেবে ভালো। কিন্তু জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন। মনজুল সেই সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিএনপি'র প্রার্থী সালেহ আহমেদ না থাকায় ওই ভোটগুলো আনারস পাবে। এছাড়া জামায়াতের ভোটব্যাংকও রয়েছে। তাই বামনী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াই হবে মূলতঃ আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের মধ্যে।

বিএনপি'র সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ বলেন, এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের তেমন ভোট নেই। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী সব ভোটও পান, তবু চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। কারণ এখানে বিএনপি-জামায়াতের ৭০ শতাংশ ভোট রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন না করায় আমি নির্বাচন করছি না। তবে বিএনপি'র ভোটগুলো আনারস প্রতীকের প্রার্থী, স্থানীয় জামায়ত নেতা মনজুল কবিরই পাবেন বলে মনে করি।

মনজুল কবির শিক্ষার্থীদের চুল কেটে নিন্দিত হলেও নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। যাদের চুল কাটা হয়েছে তাদের অভিভাবকরাও বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু ভাবছেন না বলে এলাকার বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তাফাজ্জল হোসেন বলেন, মনজুল কবিরকে আমি প্রার্থীই মনে করি না। সে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। আমি তার জামানত খাওয়ার জন্য বসে আছি। কোনো কেন্দ্রে আনারসের এজেন্টই দিতে পারবে না। কিছুদিন আগেও ছাত্রদের চুল কেটে দিয়ে জঘন্য অপরাধ করেছে। যার ফলে জেল খেটেছে। মাদ্রাসা থেকে তাকে বহিস্কার করেছে। এবারও আমিই জয়ী হবো।

মনজুল কবির এই প্রতিবেদককে বলেন, চুল কাটার বিষয়টি হয়তো রুলস এবং রেগুলেশনে পড়ে না। এটা অন্যায়। ছাত্রদের শৃঙ্খলায় ফেরাতেই এটা করেছিলাম। ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকরা বিষয়টি পজিটিভলি নিয়েছেন। নির্বাচনে লড়ছি। আমি আশাবাদী, মানুষ কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে জয়ী হবো। 

বর্তমান চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসাইন-এর বক্তব্যের বিষয়ে মনজুল কবির বলেন, আমি নির্বাচন করছি জনগণের সেবা করার জন্য। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান, সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁর কোনো কথার জবাব দিতে চাই না। আমার কাজটুকুই করে যেতে চাই।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রদের পাঠদান বন্ধ করে বারান্দায় ডেকে এনে চুল কেটে দেন হামছাদী কাজির দীঘিরপাড় আলিম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মনজুল কবির। ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাজীর দীঘিরপাড় এলাকা থেকে মনজুল কবিরকে আটক করে পুলিশ। ১৪ দিন পর ২৫ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন তিনি। 

আরও পড়ুন:
মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় সোমবার
এমবাপ্পে-বেনজেমা’র আগুনে পুড়ে ছাই কাজাখস্তান
ব্যাংকের দেয়াল ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা, আটক তিন

বিভি/এনএম/এএন

মন্তব্য করুন: