সন্তানদের ছবি হাতে হাসপাতালে খুঁজছেন অনেক স্বজন

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল হাসপাতালে এখনো অসংখ্য মানুষ ভিড় করে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছে আহতদের সাথে আর অনেকে এখনো স্বজনদের খুঁজছেন। এই স্বজনদের অনেকে তাদের সন্তানদের ছবি নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন। এই হাসপাতালেও তারা স্বজনকে খুঁজতে এসেছিলেন।
প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতালে ৬০ জন ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের অনেকে অন্যান্য হাসপাতালে চলে গেছেন। এখনো ২৩ জন ভর্তি রয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরেই সেখানে রোগীদের স্বজনরা আসছেন, ছোটাছুটি করছেন।
আহতদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে অনেকে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে হাসপাতালে এসেছেন।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর অনেকেই স্বেচ্ছাসেবাী হিসাবে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই স্কুল থেকে আহতদের উদ্ধার করে শুরুতেই এই আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগের শরীরের নানা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত বা দগ্ধ অবস্থায় যাদের আনা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ তারা প্রায় সকলেই ওই স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে, কাউকে কাউকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুর একটার দিকে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল এলাকায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআরের বিবৃতি বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-সেভেন বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি একটা ছয় মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৭৪ জন আহত। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। ওই বিমানের পাইলট তৌকিরও মারা গেছেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: