মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর অনন্য নিদর্শন, রক্তদান করতে আগ্রহীদের ভিড়

‘এখন আর ব্লাড লাগবে না। আপনারা শুধু নাম রেজিস্ট্রেশন করে চলে যান।’ হ্যান্ডমাইকে এমন ঘোষণা বারবার দিচ্ছিলেন বিএনসিসি সদস্য। রাজধানীর বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে বিকাল থেকে লাইন দিয়ে থাকেন রক্তদানে আগ্রহী। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় পুরো জাতি যখন শোকে স্তব্ধ। তখন দেখা গেছে এমন মানবিক দৃষ্টান্ত।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া আহতদের রক্ত দানে দ্রুত সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রক্তদানের জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল নেমেছে। অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ছুটে এসেছেন, যা দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন মেটাতে হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেছেন কয়েকশ মানুষ। তবে পজিটিভ রক্তের পর্যাপ্ত সংখ্যক ডোনার থাকলেও নেগেটিভ গ্রুপগুলোর রক্তের সংকট রয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, দগ্ধ রোগীদের অনেকের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। এই খবরে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। হাসপাতালের গেটের বাইরে রক্তদাতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। অনেকে আবার একসঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তের আবেদন ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রক্ত দিতে ছুটে আসছেন বার্ন ইনস্টিটিউটে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২০ জন। এ ছাড়া, বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ১৭১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। ওই বিমানের পাইলটও মারা গেছেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: