‘ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কের হাত থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের বোয়িং ক্রয়’

ছবি: ম্যারি মাসদুপ্পি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে বোয়িং বিমান কিনতে হচ্ছে বলে মনে করেন ফরাসী রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপ্পি। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং এবং ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখবে বলে আশা তার। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ফ্রান্স আরও ঘণিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় বলে জানান তিনি।
বিমান বাংলাদেশকে আধুনিকায়ন করতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হবে নতুন বিমান। এ লক্ষ্যে এয়ারবাস কেনার জন্য সরকার বেশকিছুদিন ধরেই ফ্রান্সের সাথে আলোচনা করছে। তবে এরইমধ্যে আচমকা শুল্কনীতি ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শর্ত দেওয়া হয় শুল্ক কমাতে হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়াতে হবে আমদানি। এই কারণেই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং বিমান কিনছে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপ্পি।
তিনি বলেন, ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশের এয়ারবাস কেনার আলোচনা অব্যাহত আছে। আমরা লক্ষ্য করছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বোয়িং বিমান কেনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার আছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান কেনার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থাকবে বলে আশা করি। যাত্রীরা যাতে পছন্দমত বিমান চয়েজ করতে পারে এজন্য বাংলাদেশ বিমানে এয়ারবাস এবং বোয়িং দুটো থাকলেই ভালো হয়।
সম্পর্কোন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ফ্রান্স আরও নিবিড়ভাবে কাজ কারতে চায় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। সরকারের সাথে আরও ঘণিষ্ঠভাবে কাজ করতেই চাই। আমরা বুঝি যে আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে কারণ অনেক প্রকল্পই এখন রিভিউ হচ্ছে। এগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সেটা আশা করি’
সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে দুদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশা ফরাসী দূতের।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: