যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে পালালেন খুনের আসামিসহ ১০ বন্দি(ভিডিও)
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের ‘অরলিন্স জাস্টিস সেন্টার’ নামের একটি কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়েছেন ১০ জন বন্দি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিয়মিত গণনার সময় কারাগারের কর্মকর্তারা লক্ষ করেন ১০জন বন্দির হদিস মিলছে না। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পলাতক বন্দিদের হন্য হয়ে খুঁজতে থাকেন। পরে কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, বন্দীরা টয়লেটের পেছনের একটি ছিদ্র দিয়ে এবং প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। তাদের সেল ব্লকের একমাত্র প্রহরী যখন খাবার আনতে গিয়েছিলেন, তখনই এই ঘটনা ঘটান তারা। ছিদ্রটির ওপরে লেখা ছিলো ‘To Easy LoL’। ধারণা করা হচ্ছে, কারাগারের ভেতরের কেউ তাদের পালাতে সাহায্য করেছে। পালানোর পর কয়েকজনকে কাছাকাছি একটি সড়ক পেরিয়ে আবাসিক এলাকার দিকে দৌড়াতে দেখা যায়।
কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারের দুর্বল পরিকাঠামোর বিষয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন। আর বন্দিরা সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছেন। অরলিন্স প্যারিশের শেরিফ সুসান হাটসন জানান, কারও সাহায্য ছাড়া এই কারাগার থেকে পালানো প্রায় অসম্ভব।
সট- ''রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা একটি দরজা ভাঙতে সক্ষম হয়। কারাগারের টয়লেটের একটি দেয়াল ভেঙে রাত ১টার দিকে তারা জেল থেকে বেরিয়ে যান। আমাদের ধারনা, কারাগার সংলিষ্ট কেউ তাদের বের হতে সাহায্য করেছে। আমরা স্বীকার করছি যে, নিরাপত্তায় অবশ্যই কোনো ত্রুটি ছিলো। নইলে এখান থেকে বের হওয়া সম্ভব হতো না। পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে
আমাদের ডেপুটিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।'' (সুসান হাটসন, অরলিন্স প্যারিশ শেরিফ)
পলাতক ১০ বন্দিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অনলাইন রেকর্ড অনুযায়ী, পলাতক বন্দিদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাদের কয়েকজন হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা মামলার আসামিও রয়েছেন পলাতকদের মধ্যে।
পলাতকদের মধ্যে একজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাইলস নামের সেই বন্দি একটি হোটেল পার্কিং গ্যারেজের গাড়ির নীচে লুকিয়ে ছিলেন। এর আগেও তিনি দুবার কিশোর আটক কেন্দ্র থেকে পালিয়েছিলেন। মাইলস ছাড়াও আরও দুজন পলাতককে আটক করা হয়েছে।
শেরিফের কার্যালয় জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে জরাজীর্ণ অরলিন্স প্যারিশ কারাগারের পরিবর্তে অরলিন্স জাস্টিস সেন্টার খোলা হয়।কারাগারটি ফেডারেল নজরদারিতে থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: