থাইল্যান্ডের ৮ জেলায় সামরিক আইন জারি

ছবি: সংগৃহীত
আটটি জেলায় সামরিক আইন কার্যকরের ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড। এই জেলাগুলো কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো প্রাণঘাতী লড়াই অব্যাহত থাকার পর এই ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড।
চান্থাবুরি এবং ত্রাত প্রদেশের সামরিক বাহিনীর সীমান্ত প্রতিরক্ষা কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, চান্থাবুরির সাতটি জেলা এবং ত্রাত প্রদেশের একটি জেলায় ‘সামরিক আইন এখন থেকে কার্যকর’।
স্থানীয় থাই সংবাদমাধ্যম অনুসারে, ক্ষতিগ্রস্ত এই জেলাগুলো হলো: চান্থাবুরি প্রদেশের মুয়াং চাঁথাবুরি, থা মাই, মাখাম, লায়েম সিং, কায়েং হ্যাং মায়েউ, না ইয়াই আম ও খাও খিচাকুট এবং ত্রাত প্রদেশের খাও সামিং।
এদিকে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্তের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে তীব্র সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মতে, সীমান্তের খুব কাছে ‘তা ক্রাবে’ এবং ‘তা মোয়ান থম’ প্রাচীন মন্দিরের কাছে কম্বোডিয়ান এবং থাই সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
কম্বোডিয়ার মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘থাই সেনারা স্পষ্টতই এই স্থানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের জন্য আক্রমণ শুরু করেছিল।’
খেমার টাইমস সংবাদপত্র জানিয়েছে, প্রিয়াহ ভিহার প্রদেশের অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
২৮ মে তারিখে কম্বোডিয়ার প্রিয়াহ ভিহিয়ার প্রদেশ এবং থাইল্যান্ডের উবোন রাতচাথানি প্রদেশের মধ্যবর্তী বিতর্কিত এলাকায় অবস্থিত টেকো মোরোকোট গ্রাম থেকে থাই ও কম্বোডিয়ান সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এরপর থেকে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে আরও কিছু অঞ্চলে।
কর্তৃপক্ষের মতে, চলমান লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ১৫ জন এবং কম্বোডিয়ায় একজন নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দেশকে পৃথককারী সীমান্তের উভয় পাশে বসবাসকারী ১ লাখ ২০ হাজারেও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: